ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল
বার্ষিক পরীক্ষা - ২০২৪
শ্রেণি : ৯ম
বিষয় : জীববিজ্ঞান
সময়: ২:৩০ মিনিট পূণমান: ৭৫
১। (MCQ) বহুনির্বাচনি অভীক্ষা ৩০×১ = ৩০
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
1).জীবজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া কোনটি?
ক. শ্বসন খ. প্রস্বেদন
#*গ. সালোকসংশ্লেষণ ঘ. অভিস্রবণ
2).রাইবুলোজ কত কার্বনবিশিষ্ট হয়?
ক. তিন খ. চার
#*গ. পাঁচ ঘ. ছয়
3).বায়ুতে কিসের ঘনত্ব বেড়ে গেলে শ্বসনের হার কমে যায়?
ক. O2 #* খ. CO2
গ. C4 ঘ. ATP
4).পাইরুভিক অ্যাসিড কত কার্বনবিশিষ্ট?
ক. দুই #* খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
5).গ্লাইকোলাইসিস ধাপটি কোথায় সংঘটিত হয়?
ক. ক্লোরোপ্লাস্টে খ. নিউক্লিয়াসে
#* গ. সাইটোপ্লাজমে ঘ. মাইটোকন্ড্রিয়ায়
6).কোনটি সালোকসংশ্লেষণে নির্গত অক্সিজেনের উৎস?
#* ক. পানি খ. ক্লোরোফিল
গ. সূর্যের আলো ঘ. কার্বন ডাই-অক্সাইড
7).মাশরুমের কোষপ্রাচীর কী দিয়ে গঠিত?
ক. লিপিড #*খ. কাইটিন
গ. লিগনিন ঘ. সুবেরিন
8). ক্রেবস চক্রের সকল বিক্রিয়া কোথায় ঘটে?
#* ক. মাইটোকন্ড্রিয়াতে খ. নিউক্লিয়াসে
গ. সাইটোপ্লাজমে ঘ. গ্লাইকোলাইসিসে
9).কত তাপমাত্রায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চলতে পারে না?
ক. ১৫° সেলসিয়াসের নিচে #*খ. ৪৫° সেলসিয়াসের ওপরে
গ. ৫৫° সেলসিয়াসের ওপরে ঘ. ৫৫° সেলসিয়াসের নিচে
10).কোনটি শ্বসনের ক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে?
ক. অক্সিজেন সরবরাহ খ. তাপ
#*গ. পরিমিত পানি সরবরাহ ঘ. সূর্যালোক
11). কোষ বিভাজন কয় প্রকার?
#*ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
12).মানবদেহে কয়টি ক্রোমোজোম আছে?
ক. ২২টি খ. ২৩টি
গ. ৪৪টি #*ঘ. ৪৬টি
13).মাইটোসিসের কোন ধাপে সেন্ট্রোমিয়ার দুটি খণ্ডে বিভক্ত হয়?
ক. প্রোফেজ খ. প্রো-মেটাফেজ
গ. মেটাফেজ #* ঘ. অ্যানাফেজ
14).কোনটি সুপার কিংডম?
ক. মনেরা খ. প্রোটিস্টা
গ. প্লানটি #* ঘ. ইউক্যারিওটা
15).ব্যাকটেরিয়ায় কোন ধরনের কোষ বিভাজন হয়?
#* ক. অ্যামাইটোসিস খ. অস্বাভাবিক
গ. মাইটোসিস ঘ. মিয়োসিস
16).ক্রোমোসোমগুলো বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থান করে কোন ধাপে?
ক. প্রোফেজ খ. প্রো-মেটাফেজ
#* গ. মেটাফেজ ঘ. টেলোফেজ
17).মাইটোসিসের কোন ধাপে স্পিন্ডল যন্ত্রের সৃষ্টি হয়?
ক. প্রোফেজ #* খ. প্রো-মেটাফেজ
গ. মেটাফেজ ঘ. অ্যানাফেজ
18).মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম কয়টি?
#* ক. এক জোড়া খ. দুই জোড়া
গ. তিন জোড়া ঘ. চার জোড়া
19).প্রোফেজ পর্যায়ে—
i. নিউক্লিয়াস আকারে ছোট হয়
ii. ক্রোমোজোমগুলো খাটো ও মোটা হয়
iii. ক্রোমোজোম থেকে পানি হ্রাস পেতে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
#* গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
20).কোন ধাপে ক্রোমোজোগুলো পানি শোষণ করে সরু ও লম্বা হয়?
ক. প্রোফেজ খ. মেটাফেজ
গ. অ্যানাফেজ #* ঘ. টেলোফেজ
21).ইন্টারক্যালেকটিভ ডিস্ক থাকে কোন টিস্যুতে?
#* ক. কার্ডিয়াক খ. ঐচ্ছিক
গ. অনৈচ্ছিক ঘ. স্নায়ু টিস্যু
22).স্নায়ু টিস্যু অসংখ্য কী দিয়ে গঠিত?
ক. অ্যাক্সন #* খ. নিউরন
গ. ডেনড্রাইট ঘ. দেহকোষ
23).একটি স্নায়ু টিস্যু—
i. পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে
ii. উদ্দীপনা মস্তিষ্কের বহন করে
iii. সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii #* ঘ. i, ii ও iii
24).নিউরনের সাইটোপ্লাজমে সক্রিয় কোন অঙ্গাণুটি না থাকার কারণে এটি বিভাজিত হয় না?
ক. কোষ গহ্বর #*খ. সেন্ট্রিওল
গ. কোষ প্রাচীর ঘ. লাইসোজোম
25).নিউরন কোষ—
i. বহুভূজাকৃতি
ii. নিউক্লিয়াস যুক্ত
iii. বিভাজিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক
#* ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
26). একটি নিউরণে কয়টি অ্যাক্সন থাকে?
#* ক. এক খ. দুই
গ. চার ঘ. ছয়
27).উচ্চতর প্রাণীতে স্নায়ুটিস্যু—
i. স্মৃতি সংরক্ষণ করে
ii. বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে
iii. অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় করে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii #* ঘ. i, ii ও iii
28).Panthera tigris কোনটির বৈজ্ঞানিক নাম?
ক. বাঘ খ. চিতা বাঘ
গ. গুল বাঘ #* ঘ. রয়েল বেঙ্গল টাইগার
29). Oryza sativa কোনটির বৈজ্ঞানিক নাম?
ক. পাট #* খ. ধান
গ. শাপলা ঘ. জবা
30).কোন রাজ্যের যৌনজনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের?
#* ক. প্লান্টি খ. ফানজাই
গ. প্রোটিস্টা ঘ. অ্যানিমেলিয়া
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (১০ টি প্রশ্নের উত্তর দাও) ১০×২ = ২০
1). শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য হলো এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগেক সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা।
2). দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লেখো।
উত্তর : দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Copsychus saularis.
3). হরমোন কাকে বলে?
উত্তর : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রসকে হরমোন বলে।
4). সেন্ট্রিওল কী?
উত্তর : প্রাণিকোষে অবস্থিত নিউক্লিয়াসের পার্শ্ববর্তী দুটি ফাঁপা ও নলাকার অঙ্গাণু।
5). লিউকোপ্লাস্ট কী?
উত্তর : যেসব প্লাস্টিড কোনো রঞ্জক পদার্থ ধারণ করে না তাদের প্লাস্টিড বলে।
6). কোষ বিভাজনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : কোষ বিভাজনের উদ্দেশ্য হলো জীবের বৃদ্ধি ও প্রজনন করা।
7). মিয়োসিস কী?
উত্তর : যে কোষ বিভাজনে নিউক্লিয়াস দুবার এবং ক্রোমোজম একবার বিভক্ত হয়, ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়, তাকে মিয়োসিস বলে।
8). গ্যামেট কী?
উত্তর : এক প্রস্থ ক্রোমোজমবিশিষ্ট জনন কোষকে গ্যামেট বলে।
9). ডিপ্লয়েড কী?
উত্তর : দুই প্রস্থ ক্রোমোজমকে ডিপ্লয়েড (2n) বলে।
10). জীব পরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞানকে কী বলে?
উত্তর: জীব পুরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞানকে জীব পরিসংখ্যাবিদ্যা বলে।
Note : জৈব পরিসংখ্যান ( বায়োমেট্রি নামেও পরিচিত) হল পরিসংখ্যানের একটি শাখা যা জীববিজ্ঞানের বিস্তৃত বিষয়গুলিতে পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি প্রয়োগ করে। এটি জৈবিক পরীক্ষার নকশা, সেই পরীক্ষাগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ এবং ফলাফলের ব্যাখ্যাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
৩। সৃজনশীল প্রশ্ন ১০×১=১০
1) শিপন সাহেব একজন প্রকৃতিপ্রেমি যুবক। শীতকালের এক সকালে তিনি দেখতে পেলেন যে আশে পাশের গাছ থেকে পাতা ঝরে যাচ্ছে। তিনি আরো খেয়াল করলেন যে তার হাতের তালু থেকে চামড়া উঠছে।
(ক) কোষ কাকে বলে? ১
(খ) কোষের প্রকারভেদ বর্ণনা কর। ২
(গ) উদ্দিপকে উল্লেখিত গাছে যে ধরণের কোষ বিদ্যমান তার চিত্র অংকন করে অঙ্গানুগুলো চিহ্নিত কর। ৩
(ঘ) উদ্দিপকের গাছের পাতার কোষ ও হাতের চামড়ার কোষ এক নয়। ব্যাক্ষা কর। ৪
(ক) জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।
(খ) নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ দুই ধরণের। যথা:
১. আদিকোষ: এ ধরণের কোষে কোন সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই। এদের দেহ রাইবোজোম থাকে, ক্রোমোজোমে থাকে। অন্যান্য কোষীয় আঙ্গানু অনুপস্থিত।
২. প্রকৃত কোষ: এ ধরণের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে। কোষীয় সকল উপাদান মাইটোকন্ডিয়া, প্লাজমিক, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।
(গ) গাছের পাতার কোষ প্রকৃত কোষ। প্রকৃতকোষের উদ্ভিদকোষ গাছের পাতয় বিদ্যমান। নিচে উদ্ভিদকোষের চিত্র অংকন করে অঙ্গানু চিহ্নিত করা হল।
প্লাজমাডেজমাটা প্লাজমা মেমব্রন কোষপ্রাচীর
ক্লোরোপ্লাস্ট
কোষগহ্বর মাইটোকন্ড্রিয়া
সাইটোপ্লাজম
মসুণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা রাইবোজম
নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয়ার রক্ত নিউক্লিয়ার আবরণী
নিউক্লিওলাস
গলজি বস্তু অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা
চিত্রে: গাছের পাতার কোষ।
(ঘ) উদ্দিপকে উল্লেখিত গাছের পাতা ও হাতের চামড়া উভয়ই প্রকৃতকোষী। তবে গাছের পাতা উদ্ভিদকোষ ও হাতের চামড়া প্রাণীকোষ এর অন্তর্গত।
গাছের পাতার কোষ (উদ্ভিদকোষ): উদ্ভিদকোষ দেহে যে কোষ থাকে তাকে উদ্ভিদ কোষ বলে। এটি উদ্ভিদের গঠন ও কার্যের একক। উদ্ভিদকোষ বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গানু নিয়ে গঠিত। উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর থাকে। প্লাসিড থাকে যা খাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থও থাকে। উদ্ভিদ কোষে কোষ গহ্বর থাকে।
হাতের চামড়ার কোষ (প্রাণীকোষ): প্রাণীদেহে যে কোষ থাকে তাকে প্রাণী কোষ বলে। প্রাণীকোষ মাইটোকন্ডিয়া, নিউক্লিয়াস, ক্রোমাটিড, মাইক্রোভিলাস ইত্যাদি কোষীয় অঙ্গানু নিয়ে গঠিত। উদ্ভিদকোষে প্লাসিড থাকলেও প্রাণীকোষে প্লাস্টিড থাকে না। আবার প্রাণীকোষের কোষ গহ্বর উদ্ভিদকোষের তুলনায় ছোট। তাই বলা যায়, গাছের পাতার কোষ ও হাতের চামড়ার কোষ এক নয়।
৪। বর্ণনামূলক প্রশ্ন ৫×৩ =১৫
1). লিনিয়াসকে আধুনিক ট্যাক্সোনমিক বোটানির জনক বলা হয় কেন? এবং কোষের প্রকারভেদ আলোচনা কর?
ক্যারোলাস লিনিয়াসই প্রথম জীবজগৎকে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলে শ্রেণিবিন্যাস করেন। তিনি উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিগুলোকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দ্বিপদী নামকরণ চালু করেন। এর আগে বিভিন্ন প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে জটিলতা ছিল, নামের তালিকাও বড় ছিল। তাই তাকে শ্রেণি বিন্যাসের জনক বলা হয়।
কোষের প্রকারভেদ
কোষের প্রকারভেদ (Cell Types)
শারীরবৃত্তীয় কাজের ভিত্তিতে কোষের প্রকারভেদ (Cell Types)
দেহকোষ (Somatic Cell) : জীবদেহের অঙ্গ ও অঙ্গতন্ত্র গঠনকারী কোষকে দেহকোষ বলে। উচ্চ শ্রেণির জীবদেহের দেহকোষে সাধারণত ডিপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোসোম থাকে। উদাহরণ : মূল, কাণ্ড ও পাতার কোষ, স্নায়ু কোষ, রক্তকণিকা ইত্যাদি।
জননকোষ বা গ্যামিট (Reproductive Cell or Gamete) : যৌন প্রজননের জন্য ডিপ্লয়েড জীবের জননাঙ্গে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হ্যাপ্লয়েড কোষকে জননকোষ বলে। জননকোষ সর্বদাই হ্যাপ্লয়েড। উদাহরণ : শুক্রাণু ও ডিম্বাণু।
নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষের প্রকারভেদ (Cell Types)
আদিকেন্দ্রিক বা প্রাক-কেন্দ্রিক কোষ (Prokaryotic Cell) : যে কোষে কোনো আবরণীবেষ্টিত নিউক্লিয়াস, এমনকি আবরণীবেষ্টিত (membrane-bound) অন্য কোনো অঙ্গাণুও (organelles) থাকে না তা হলো আদি কোষ। উদাহরণ : মাইকোপ্লাজমা, ব্যাকটেরিয়া, ও সায়ানোব্যাকটেরিয়া।
প্রকৃত বা সুকেন্দ্রিক কোষ (Eukaryotic Cell) : যে কোষে আবরণীবেষ্টিত নিউক্লিয়াস থাকে তা হলো প্রকৃত কোষ। প্রকৃত কোষে নিউক্লিয়াস ছাড়াও আবরণীবেষ্টিত অন্যান্য অঙ্গাণু থাকে। জড় কোষপ্রাচীর বিশিষ্ট প্রকৃত কোষই প্রকৃত উদ্ভিদকোষ। শৈবাল, ছত্রাক, বায়োফাইটস, জিমনোস্পার্মস এবং এনজিওস্পার্মস ইত্যাদি সব উদ্ভিদই প্রকৃত কোষ দিয়ে গঠিত এবং সকল প্রাণিকোষ প্রকৃত কোষ।
প্রকৃত কোষ
উদ্ভিদকোষ (Plant Cell) : কোষের বাইরে শক্ত সেলুলোজ নির্মিত কোষ প্রাচীর থাকে। পরিণত কোষে কেন্দ্রে বড় কোষ গহ্বর ও সাইটোপ্লাজমে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। পরিণত কোষের গঠন সাধারণত গোলাকার, ডিম্বাকার হয়ে থাকে। সঞ্চিত খাদ্য শ্বেতসার। সাধারণত সেন্ট্রোসোম থাকে না।
প্রাণিকোষ (Animal Cell) : এদের কোষে কোষপ্রাচীর থাকে না এবং কোষ গহ্বর অনুপস্থিত, থাকলেও অতি ক্ষুদ্রাকৃতির, ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। কোষে সেন্ট্রোসোম থাকে। সঞ্চিত খাদ্য চর্বি ও গ্লাইকোজেন।
2). জীবজগতে সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব বর্ণনা কর? এবং অ্যানাফেজ এর চিত্র অংকন করো?
সালোকসংশ্লেষণ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ার মাধ্যমেই সূর্যালোক এবং জীবনের মধ্যে সেতুবন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। নিচের সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যাবে। বিশ্বজুড়ে এ বিক্রিয়ার ব্যাপকতা লক্ষ করে কোনো কোনো বিজ্ঞানী এ প্রক্রিয়াকে জৈব রাসায়নিক কারখানা নামে অভিহিত করেছেন।
সমস্ত শক্তির উৎস হলো সূর্য। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করে খাদ্যের মধ্যে আবদ্ধ করতে পারে। কোনো প্রাণীই তার নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না। আমরা খাদ্য হিসেবে ভাত, রুটি, ফলমূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি যা-ই গ্রহণ করি না কেন, তার সবই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি। কাজেই খাদ্যের জন্য সমগ্র প্রাণিকুল সবুজ উদ্ভিদের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল, আর সবুজ উদ্ভিদ এ খাদ্য প্রস্তুত করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়। কাজেই বলা যায়, পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ এবং প্রাণীর খাদ্য প্ৰস্তুত হয় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়, বিশেষ করে O2 ও CO2-এর সঠিক অনুপাত রক্ষায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বায়ুতে অক্সিজেন গ্যাসের পরিমাণ 20.95 ভাগ এবং CO2 গ্যাসের পরিমাণ 0.033 ভাগ।
পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং জীবনযাপনের জন্য বায়ুতে এ দুটি গ্যাসের পরিমাণ স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকতে হয়। এ পরিমাণের তারতম্য ঘটলে বায়ুমণ্ডল জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। আমরা জানি, সব জীবেই (উদ্ভিদ ও প্রাণী) সব সময়ের জন্য শ্বসনক্রিয়া চলতে থাকে। শ্বসন প্রক্রিয়ায় জীব O2 গ্রহণ করে এবং CO2 ত্যাগ করে। কেবল শ্বসন প্রক্রিয়া চলতে থাকলে বায়ুমণ্ডলে O2 গ্যাসের স্বল্পতা এবং CO2 গ্যাসের আধিক্য দেখা দিত। কিন্তু সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 গ্রহণ করে এবং O2 ত্যাগ করে বলে এখনও বায়ুমণ্ডলে O2 ও CO2 গ্যাসের সঠিক অনুপাত রক্ষিত হচ্ছে। তবে বর্তমানে অধিক হারে বন-জঙ্গল ধ্বংস করার ফলে বায়ুমণ্ডলে এ দুটি গ্যাসের অনুপাত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কাজেই আমাদেরকে অবশ্যই অধিক হারে গাছ লাগাতে হবে।
মানবসভ্যতার অগ্রগতি অনেকাংশে সালোকসংশ্লেষণের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। অন্ন, বস্ত্র, শিল্পসামগ্রী (যেমন নাইলন, রেয়ন, কাগজ, সেলুলোজ, কাঠ, রাবার), ঔষধ (যেমন কুইনাইন, মরফিন), জ্বালানি কয়লা, পেট্রল, গ্যাস প্রভৃতি উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। তাই সালোকসংশ্লেষণ না ঘটলে মানবসভ্যতা ধ্বংস হবে, বিলুপ্ত হবে জীবজগৎ। সুতরাং সালোকসংশ্লেষণ জীবজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
শুধু তা-ই নয়, আজ থেকে প্রায় 5 বিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয়, তখন এখানে কোনো গ্যাসীয় অক্সিজেন ছিল না। আদি উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরি করে এই পৃথিবীকে আমাদের জন্য বাসযোগ্য করে দিয়েছিল।
নাফেজ এর চিত্র |
3). দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে ধান, গোলাপ,পাট,আম, কাঁঠাল, শাপলা,পদ্ম,মানুষ, কামিনী,ইলিশ এর সাধারণ নাম ও বৈজ্ঞানিক নাম লিখো?
গোলাপ এর বৈজ্ঞানিক নাম - Rosa rubiginosa (রোজা রুবিগিনোসা)
পাট এর বৈজ্ঞানিক নাম - Corchorus capsularis
আম এর বৈজ্ঞানিক নাম - Mangifera indica
কাঁঠাল এর বৈজ্ঞানিক নাম - Artocarpus heterophyllus)
শাপলা এর বৈজ্ঞানিক নাম - Nymphaea nouchali;
পদ্ম এর বৈজ্ঞানিক নাম - Nelumbo nucifera
মানুষ এর বৈজ্ঞানিক নাম - Homo sapiens
কামিনী এর বৈজ্ঞানিক নাম - Murraya paniculata
ইলিশের এর বৈজ্ঞানিক নাম - Tenualosa ilisha
ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল-86
Post a Comment
0Comments