Bhowal Islamic Cadet Academy || ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমি

অনলাইন ডেস্ক
By -
0

 Bhowal Islamic Cadet Academy || ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমি

ই-মেইল :BhowalIslamicCadetAcademy@gmail.com


Bhowal Islamic Cadet Academy || ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমি



প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কর্তব্য :

১. প্রধান শিক্ষক স্কুলের যাবতীয় রেকর্ড, রেজিস্টার ও ফাইল সংরক্ষণ করবেন;
২. স্কুল এলাকায় স্কুল গমনোপযোগী শিশুদের বাৎসরিক জরিপের কাজ শিক্ষকমন্ডলী ও ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় সম্পন্ন কর- বেন এবং শিশু জরিপের স্থায়ী রেজিস্টার সং- রক্ষণ করবেন;
৩. শিশুদের অভিভাবকবৃন্দকে তাদের সন্তান- দের স্কুলে প্রেরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন;
৪. শিক্ষকমন্ডলী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃ- নন্দ এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় স্কুলে শিশুদের দৈনিক ও নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন
৫. বাৎসরিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্ত- বায়ন করবেন এবং উহার আলোকে সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন
৬. বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা, বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান ও অভিভাবক দিবস উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
৭. সহকারী শিক্ষকদের একসঙ্গে অনধিক ৩ দিন পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করতে পারবেন;
৮. সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি আদেশ ও আইন সম্পর্কে অবহিত করবেন
৯. স্কুলে ম্যানেজিং কমিটিরি সদস্যদের সহযোগিতায় স্কুলগৃহ, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদের নিয়মিত সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
১০. প্রয়োজনীয় রিপোর্ট ও রিটার্ণ প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট যথানিয়মে প্রেরণ করবেন;
১১. ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন
১২. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা/বৃত্তি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করবেন;
১৩. স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নিমিত্তে সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন;
১৪. শিক্ষক অভিভাবক সমিতি গঠন ও উহার কার্যকরিতা নিশ্চিত করবেন;
১৫. সরকার প্রদত্ত পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য সরবরাহকৃত দ্রব্য ও সাজ-সরঞ্জামাদি ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনক্রমে বিতরণ করবেন;
১৬. বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ, বিদ্যালয় আঙিনা এবং শৌচাগার তথা বিদ্যালয় পরিবেশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবেন;
১৭. পাঠোন্নতির লক্ষ্যমাত্রা পর্যালোচনার নিমিত্তে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিমাসে অন্ততপক্ষে ২টি অধিবেশনের ব্যবস্থা করবেন এবং সিদ্ধান্তসমূহ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন;
১৮. সহকারী শিক্ষকদের এসিআর অনুসাক্ষরপূর্বক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার সমীপে প্রেরণ করবেন;
১৯. সহকারী শিক্ষকদের ছুটি, বদলিসহ অন্যান্য আবেদনপত্র মন্তব্য সহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমীপে প্রেরণ করবেন;
২০. মাসে অন্ততপক্ষে একবার ম্যানেজিং কমিটির অধিবেশনের ব্যবস্থা করবেন এবং অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তবলি বাস্তবায়ন করবেন।

একাডেমিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:


২১. শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের কার্যকর নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর উন্নয়ন হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন;
২২. শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা নিশ্চিত করবেন;
২৩. বিদ্যালয়ের এ্যাসেসমেন্ট ও ইভালুয়েশন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন;
২৪. শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক সফলতার জন্য সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করবেন;
২৫. শিক্ষার্থীদের উন্নতি অর্জন ত্বরান্বিত করতে অভিভাবক ও কমিউনিটিকে জড়িত করবেন;
২৬. শিক্ষার্থীদের শিখনে সহায়তা প্রদানের জন্য রিসোর্স সরবরাহ নিশ্চিত করবেন;

তত্ত্বাবধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:

২৭. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গমনোপযোগী শিশু- দের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদানের জন্য অভি- ভাবকদের উদ্বুদ্ধ করবেন;
২৮. সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন;
২৯. নিয়মিত প্রতিদিন লিখিতভাবে অন্তত দুটি শিখন শেখানো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে শি- ক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের প্রয়ো- জনীয় সহায়তা প্রদান করবেন;
৩০. পাঠের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সহকারী শিক্ষ- কগণ দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা এবং শিক্ষা উপ- করণ তৈরি বা সংগ্রহ করেছেন কিনা সে সম্প- র্কে নিশ্চিত হবেন;
৩১. সহকারী শিক্ষকগণ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করছেন কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন;
৩২. নিয়মিত পাক্ষিক সভায় সকল পর্যবেক্ষণ উত্থাপন করে আলোচনা করবেন এবং সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করবেন;
৩৩. বিদ্যালয় পাঠাগারের উন্নয়ন ও রক্ষণাবে- ক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।

আর্থিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:


৩৪. সরকার ও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অর্থ, আসবাবপত্র, শিক্ষা উপকরণ ও অন্যান্য সম্প- দের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ক্যাশবুক ও স্টক রেজিস্টার সংরক্ষণ করবেন;
৩৫. স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের মা- সিক বেতন বিল তৈরি করে সহকারী উপ- জেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের নিকট নিয়মি- তভাবে যথাসময়ে দাখিল করবেন;
৩৬. বিভিন্ন সময়ে সরকার/অধিদপ্তর/উপ- জেলা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন।
ক্লাস্টার ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য:
৩৭. সাব-ক্লাস্টার ট্রেনিং এর দিন তারিখ ও বিষয় শিক্ষকদের যথাসময়ে জানিয়ে দিবেন। সাব-ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠানের জন্য সবরকম আয়োজন সম্পন্ন করবেন। যেমন: বসার জা- য়গা, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি;
৩৮. প্রশিক্ষণের দিন প্রধান শিক্ষক নিজে উপ- স্থিত থাকবেন এবং অন্যান্য শিক্ষকের উপ- স্থিতি নিশ্চিত করবেন;
৩৯. প্রশিক্ষণের দিন সাধারণত শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে না।
বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য:
৪০. এসএমসি ও শিক্ষক অভিভাবক সমিতি গঠন নিশ্চিত করবেন;
৪১. এসএমসি'এর সহায়তা নিয়ে পরিকল্পনা কমিটি গঠন করবেন;
৪২. শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক-অভিভাবক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন;
৪৩. স্থানীয় জনগণকে পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন;
৪৪. পরিকল্পনায় যে বাজেট থাকবে তার কিয়দংশ অর্থায়নের জন্য তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন;
৪৫. সঠিকভাবে খরচের ভাউচার তৈরি কর- বেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন;
৪৬. পকিল্পনা বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে খরচের বিবরণী তৈরি করবেন এবং ভাউচারসহ উপ- জেলা অফিসে প্রেরণ করবেন;
৪৭. উল্লিখিত দায়িত্বসমূহ সম্পাদনের লক্ষ্যে অন্যান্য শিক্ষকের সহায়তা গ্রহণ করবেন (সকল শিক্ষক একটি টিম হিসেবে কাজ করবেন)
পরিমার্জিত ডিপিএড এর আওতায় ইন্টার্ণশিপ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
৪৮. নিজ বিদ্যালয়ে সংযুক্ত সকল প্রশিক্ষণা- র্থীদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করবেন;
৪৯. নিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকের কার্যক্রম চেকলিস্ট অনুসারে মূল্যায়ন ও মনি- টরিং করবেন;
৫০. প্রশিক্ষণার্থীগণকে মেন্টরিং করে পরিপূর্ণ শিক্ষক হতে সহায়তা করবেন;
৫১. অন্যান্য মূল্যায়নকারীগণ কর্তৃক মূল্যায়- নের নম্বর সংগ্রহ করা এবং নিজের প্রদত্ত নম্ব- রসহ গোপনীয়তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরের কাছে প্রেরণ করবেন।

প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান (প্রযুক্তির সাহায্যে):


৫২. বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে বা অফিস আদেশের মাধ্যমে চাহিত তথ্য সমূহ সঠিক ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করতে হবে।
৫৩. কোন তথ্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে সাবমিট করতে বলা হলে যথাসময়ের মধ্যে গুগল ফর্মের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
৫৪। প্রতিদিন উপজেলা শিক্ষা অফিসের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (পোর্টাল) চেক করতে হবে। নিয়মিত কোন আপডেট আছে কিনা তা প্রতিদিন চেক করতে হবে।

শ্রেনি পাঠদান:

৫৫. নিয়মিত অনুমোদিত রুটিন অনুসারে সহকারী শিক্ষকের ন্যায় শ্রেনিতে পাঠদান করতে হবে।
৫৬. দৈনিক শ্রেনি পাঠদান করতে হবে ও ছক অনুযায়ী শ্রেনি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। 
৫৭. শ্রেনি কার্যক্রম বা বিদ্যালয় পরিচালনার কাজ ফেলে রেখে এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় চলাকালীন অপ্রয়োজনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে বা অন্যত্র যাওয়া যাবেনা। 
৫৮. মুভমেন্ট রেজিস্টার চালু রেখে তা ব্যবহার করতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া অপ্রয়োজনে বিদ্যালয়ের বাহিরে যাওয়া যাবেনা।

আইসিটি কার্যক্রম:

৫৯. বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল জিমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ফেসবুক পেজ বা আইডি তৈরি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। 
৬০. জুম মিটিং ও গুগল মিট আইডি তৈরি করে প্রতিনিয়ত অনলাইন মিটিং এ অংশগ্রহণ করতে হবে। 
৬১. বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, রাউটার, মডেম, প্রজেক্টের ইত্যাদির যথাযথ ও প্রয়োজনে দৈনিক ব্যবহার নিশ্চিত।করতে হবে।
বি:দ্র: ইলেকট্রনিক পণ্য সঠিক ব্যবহার না করে ফেলে রাখলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা থাকে।
৬২. অনলাইনে উপবৃত্তি,ইউনিক আইডির কাজ এছাড়া ও অন্যান্য তথ্য প্রধান শিক্ষক নিজ তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে হবে এবং দোকানে না গিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
৬৩. প্রধান শিক্ষক নিজে ও সহকারী শিক্ষকদেরকেও আইসিটির বিভিন্ন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিখতে হবে এবং যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
৬৪. IPEMIS এ বিদ্যালয়ের তথ্য, শুমারি জরিপ, শিক্ষার্থী সারাংশ সজ সকল শিক্ষকদের তথ্য নিয়মিত বিদ্যালয়ের মধ্যেই হালফিল করতে হবে। 
কোনভাবেই দোকানের মাধ্যমে এসব গোপনীয় কাজ করা যাবেনা। ভবিষ্যতে কোন রকম সমস্যা হলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবে।

*** এছাড়াও উর্ধ্বতন অফিস কর্তৃক অন্যান্য অর্পিত দায়িত্বসমূহ নিষ্ঠার সাথে যথাসময়ে পালন করতে হবে।


সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য


একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ব্যক্তি। সুষ্ঠুভাবে বিদ্যালয় পরিচালনায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে তাঁকে বেশ কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়, তার মধ্যে অন্যতম কিছু মৌলিক দায়িত্ব-কর্তব্য নিম্নরূপ-

1. বছরের শুরুতেই ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করা।

2. স্টপগ্যাপ রুটিন প্রস্তুত ও ক্লাস বন্টন।

3. প্রতিমাসেশ্রেণিশিক্ষকদেরমাধ্যমেহাজিরাখাতায়ছাত্র-ছাত্রীরনামউঠানোরব্যবস্থানিবেন।

4. নিয়মিতপ্রাত্যাহিকসমাবেশেরউদ্যোগনিবেনসময়মত নিজেউপস্থিতথাকবেন

5. শ্রেণিকার্যক্রমসুষ্ঠুভাবেপরিচালনারজন্যশ্রেণিশিক্ষকদেরকেক্লাসেপাঠাবেন।

6. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা পরিচালনা করবেন।

7.পেশাদারীএবংনৈতিকদায়িত্ববোধথেকেপ্রতিষ্ঠানপ্রধানেরদেয়াশিখনপ্রক্রিয়ায়দায়িত্বপালনেধারাবাহিকতাবজায়রাখবেন।

8. ফলাফলরেজিস্ট্রারখাতায়শ্রেণিশিক্ষকদেরমাধ্যমেশিক্ষার্থীরবিভিন্নপরীক্ষাপ্রোগ্রেসরিপোর্টতৈরিকরাবেন।

9.শ্রেণিশিক্ষকদেরমাধ্যমেসবলদূর্বলঅধিকদূর্বলবিদ্যালয়েঅনুপস্থিতশিক্ষার্থীরতথ্যসংরক্ষণকরবেন।

10.  যথাযথ ICT ব্যবহারশিক্ষাউপকরণব্যবহারপাঠপরিকল্পনাকরেঅংশগ্রহনমুলকক্লাসনিতেউৎসাহদিবেনতদারকিকরবেন।

11.শিক্ষার্থীশিক্ষকেরপ্রতিআচরণবাদৃষ্টিভঙ্গিসবসময়ইতিবাচকরাখবেন।শিক্ষকশিক্ষার্থীরমধ্যেপ্রেষণাসৃষ্টিকরবেন।

12.শিক্ষার্থীদেরমধ্যেসুষ্ঠুগণতান্ত্রিকচেতনাসৃষ্টিকরারমানসেশিক্ষক-শিক্ষার্থীরসাথেবিশ্বস্থবন্ধুরআচরণকরবেন

১3।শিক্ষক-শিক্ষার্থীসম্পর্কবজায়রেখেশিক্ষকশিক্ষার্থীরসুখে-দুখেসাফল্য-ব্যর্থতায়সবসময়পাশেথাকবেন

১4।নিজস্বগঠনমূলকবাসৃজনশীলকোনোপরামর্শথাকলেপ্রতিষ্ঠানপ্রধানেরসাথেআলোচনাকরেসেঅনুযায়ীকাজকরবেন

১5।কোনশিক্ষার্থীকর্তৃকশ্রেণিতেঅনিয়মবাশৃংখলাভঙ্গহলেঅভিভাবকপ্রতিষ্ঠানপ্রধানকেঅবহিতকরেপ্রয়োজনীয়ব্যবস্থানিতেসহায়তাকরবেন

16. শিক্ষার্থীদেরকেতাদেরলক্ষ্যেপৌঁছতেপ্রয়োজনীয়উপদেশদিয়েসহায়তাকরবেন
১7.শ্রেণিশিক্ষকদেরপেশাগতমানউন্নয়নেরলক্ষ্যেসময়েসময়েপ্রতিষ্ঠানপ্রধানেরপরামর্শক্রমেনিজবিদ্যালয়েইনহাউজট্রেনিংকরাবেন।

18. শিক্ষকবিধিমোতাবেকসময়মতবিদ্যালয়েউপস্থিতহবেনএবংশ্রেণিকার্যক্রমশেষেসবকিছুসুন্দরভাবেগুছিয়েরেখেপ্রতিষ্ঠানত্যাগকরবেন।

এছাড়াওআরোকিছুদায়িত্বসম্পর্কেনিম্নলিখিতবিষয়েজ্ঞানঅর্জনকরতেহয়-
১।শিক্ষার্থীকেজানবারজ্ঞান।

২।শিখনপরিবেশেরজ্ঞান।

৩।শিক্ষাদানসম্পর্কিতজ্ঞান।

৪।বিদ্যালয়সংশ্লিষ্টপ্রশাসনিকজ্ঞান।

৫।তত্ত্বাবধানসংক্রান্তজ্ঞান।

৬।নৈতিকমূল্যবোধেরজ্ঞান।

৭।রুচিবাআগ্রহঅনুযায়ীজ্ঞান।



সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

সহকারী শিক্ষকগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য

১. শ্রেণিকক্ষে শিখন শেখানো ও গাঠনিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা;

২. বিদ্যালয় এলাকার স্কুলে গমনোপযোগী শি- শুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি, উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও পাঁচবছর মেয়াদী প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমা- পনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

৩. সামজিক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির অংশহি- সেবে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা;

৪. প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ সহ- কারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রশাস- নিক দায়িত্ব পালন করা;

৫. প্রতিমাসে অন্ততঃ একটি হোম ভিজিট করা;

৬. প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিচালনা করার কাজে সহযোগিতা করা;

৭. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন রেকর্ড পত্র তৈরি ও আপডেট করার কাজে প্রধান শিক্ষককে প্র- য়োজনীয় সহযোগিতা করা;

৮. উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দা- য়িত্ব পালন করা।

৯। যথাসময়ে বিদ্যালয়ে ও শ্রেণিতে উপস্থিত হওয়া

১০। শ্রেণি পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা ও সেই অনুসারে উপকরণ প্রস্তুতপূর্বক পাঠ পরিচালনা করা

১১। যথাযথ আইসিটির ব্যবহার, বাস্তব উপকরণ তৈরি ও সেগুলো শ্রেণিতে ব্যবহার করা

১২। আইসিটি জ্ঞান আহরণ করা। নিজেকে আইসিটিতে দক্ষ করে তুলা।

১৩। অনলাইনের যাবতীয় কাজে বিদ্যালয়কে, প্রধান শিক্ষককে নিজেকে সাহায্য করা।

১৪। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ যথাযথ মেনে চলা

১৫। পঠন দক্ষতা উন্নয়নে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া ও।বাস্তবায়ন করা

১৬। মুভমেন্ট রেজিস্টার মেনে চলা ও ক্লাস চলাকালীন অফিসে বসে না থাকা।

১৭। বিভিন্ন ক্লাব সঠিকভাবে পরিচালনা করা যেমন - কাব, হলদে পাখি, ল্যাঙ্গুয়েজ, কোডিং, ক্ষুদে ডাক্তার৷ পরিচ্ছন্নতা ক্লাব ইত্যাদি


প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক সম্পর্ক

প্রধান শিক্ষক-শিক্ষক সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্ব প্রধানের একার নয়।এখানে উভয়ের দায়িত্ব আছে।মনে রাখতে হবে, শিক্ষক শুধু ছাত্রদের জ্ঞান, শৃঙ্খলা, বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ প্রদানের দিকেই মনোযোগ থাকে কিন্তু প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ের সার্বিক একাডেমিক, প্রশাসনিক, ব্যবাস্থাপনা, আর্থিক সহ যাবতীয় দিক সামলাতে হয়।এ বিশাল দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে তাকে অন্যান্য শিক্ষকের সহায়তা নিতে হয়।এতে অনেকক্ষেত্রে সম্পর্কের অম্ল-মধুর হতে পারে।এ দিকগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিলে কোন সমস্যা হয় না।কিন্তু অনেকেই ধৈর্য হারায়ে ফেলে।আর তখনি সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক মাঝে মাঝে মেরুকরণ হতে পারে। প্রকৃতিগতভাবে একজন প্রধানকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করতে হয়। তারা সহায়ক, দাবিদার, উৎসাহিতকারী, তিরস্কারকারী, সর্বব্যাপী যা একজন শিক্ষককে তাদের সম্ভাব্য সর্বাধিক করার জন্য কী প্রয়োজন তার উপর নির্ভর করে। শিক্ষকদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে একজন শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নতিতে সাহায্য করার জন্য যা প্রয়োজন তা প্রধান শিক্ষক পূরণ করতে সচেষ্ট।
প্রধান শিক্ষক-শিক্ষক সম্পর্ক স্কুলে উন্নত সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু এবং তাঁদের আন্তঃসম্পর্কীয় যোগাযোগ স্কুল সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়। একটা স্কুলের পারফরমেন্স তখনই সর্বোত্তম আশা করা গুরুত্বপূর্ণ যখন প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকরা একসাথে কাজ করেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের লক্ষে সবাই নিবেদিত হয়।একটা স্কুলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে সেই লক্ষ্য স্থির করতে নিজেদের জ্ঞান,ধারনা, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।মনে রাখতে হবে ,প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকের সম্পর্ক প্রতিটি বিদ্যালয়ের সাফল্যের একটি মূল উপাদান।তবে প্রধানকেই সুসম্পর্ক বজায় যাতে থাকে তার জন্য অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।কথায় আছে As is the Headmaster, so is the school'। শিক্ষার্থীদের অর্জনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব এবং সমর্থন, যোগাযোগ এবং আন্তঃব্যক্তিগত (বিশ্বাস এবং সম্মান) দক্ষতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে একজন শিক্ষককে তাদের প্রধান শিক্ষকের সাথে একটি বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার মূল্যও স্বীকার করতে হবে। বিশ্বাস হল একটি দ্বিমুখী রাস্তা যা সময়ের সাথে সাথে যোগ্যতার মাধ্যমে এবং কর্মের উপর ভিত্তি করে অর্জিত হয়।# প্রধান শিক্ষককে প্রথমেই স্কুল কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি প্রতিষ্ঠা করা। # প্রধান শিক্ষকের অবশ্যই শিক্ষকদের মতো শিশুদের জন্য একই হৃদয় থাকতে হবে।তাই একজন প্রধান শিক্ষককেও ক্লাশ নিতে হবে।অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক ক্লাশ নেন না,শুধু বসে বসে শিক্ষকদের নিকট নীতিবাক্য ঝাড়েন।এতে শিক্ষকদের সাথে সখ্যতা না গড়ে লোপ পায়। # প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে রোল মডেল হিসেবে কাজ করা উচিত, যারা ভবিষতে প্রধান শিক্ষক হতে আকাঙ্ক্ষা করে, তারা সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুল ভবনের একজন প্রাথমিক নেতা। একজন ভালো নেতা সবসময় উদাহরণ দিয়ে নেতৃত্ব দেন। একজন প্রধান শিক্ষক ইতিবাচক, উৎসাহী হওয়া উচিত, স্কুলের প্রতিদিনের কার্যকলাপ সম্পর্কে তাদের স্পষ্ঠ ধারনা থাকা উচিত এবং স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী কী বলছে তা শুনতে হবে। স্কুলের একজন কার্যকর নেতা(প্রশি) শিক্ষক, কর্মচারী,এসএমসি, পিতামাতা, ছাত্র এবং স্কুল ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য সর্বদা সরব উপস্থিত। একজন ভাল প্রধান শিক্ষক যতটা সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে সিদ্ধান্তে দেন।এতে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।
শিক্ষকতা পেশা অন্য পাঁচটা পেশার মত নয়।অনেক পেশাই দ্রব্য উৎপাদন ,বিপণন,ক্রয়-বিক্য় নিয়ে থাকে।কেউবা মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করে।কিন্তু পেশাদারের ব্যক্তিগত স্বভাব , চরিত্র,আচরণ,বেশভূষা অনেক ক্ষেত্রেই তেমন প্রভাব ফেলে না।কিন্তু শিক্ষকের চলাফেরা,কথবার্তা,স্বভাব-চরিত্র,আচার-আচরণ,পোষাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি সব কিছুই তার শিক্ষার্থীর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে, যেমন, ছুটির ঘন্টা সিনেমায় শিশুটি যখন টয়লেটে আটকা পড়ল তখন সে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেভাবে স্কুল পরিচালনা করত তা একা একা অভিনয় করত।শুধু স্কুলেই প্রভাব পড়ে না, সমাজেও শিক্ষক বিভিন্ন সংস্কারে বড় ভূমিকা রাখে।(চলবে)


আমি যখন অস্টেলিয়াতে মাস্টার্স করি তখন একজন প্রফেসর একদিন ক্লাশে বলেন স্কুল প্রিন্সিপ্যাল/ প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষকদের কী কী গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা বিভিন্ন বই-পুস্তকে দেয়া আছে।যাঁরা এডুকেশন বিষয়ে পড়ালেখা করেন বা যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় আসেন তাঁদের জন্য পৃথিবীব্যাপী প্রচুর বই-পুস্তকে এতদ্বিষয়ে অনেক লিটেরেচার আছে।কিন্ত এর বাহিরে, যাঁরা এই পেশার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত না থেকেও বিভিন্ন গল্প,কবিতা, নাটক, সিনেমা,বিজ্ঞাপন,কার্টুনে শিক্ষককে সমাজের শিক্ষক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে-বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে।সমস্ত মাধ্যমে শিক্ষককে সমাজের জন্য বিভিন্ন মেসেজ তুলে ধরে সমাজ সংস্কারকের বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায়। এতদ্বিষয়ে আমাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩ হাজার শব্দের এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বলেন। উদাহরণ হিসেব ২/১ টা তুলে ধরা হলো-এক সময় টিভিতে বিজ্ঞাপন ছিল 'মাস্টার সাব কোন টিন কিনবো, কেন উট মার্কা ঢেউটিন; অন্য বিজ্ঞাপনে ছিল, ইয়াং কৃষক মনের আনন্দে গান গাচ্ছে আর কাজ করছে, মাস্টার শুনে বলছে বাড়ির খবর কী? তার বৌ বাচ্চা দিবে, মাস্টার তাকে ভালমন্দ খাওয়ার পরামর্শ দিল'।সুতরাং শিক্ষক শুধু স্কুলের মাস্টার নন, বৃহত্তর সমাজেরও মাস্টার।এই রকম একটা মহৎ পেশার শিক্ষক যদি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিবাদ করে কোমলমতি শিশু ও বৃহত্তর সমাজের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি অনুজ্জ্বল করে তার মিমাংসা অন্য কেউ করতে পারবে না,শিক্ষক সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বিদ্যালয়ে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রধান শিক্ষক বা একজন শিক্ষকের একক ভূমিকায় নয়।সকলের সম্মিলিত রোল প্লে গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা, সহযোগিতা, সহানুভূতি,অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা,ছাড় দেওয়ার মানসিকতা,বিপদে পাশে দাড়ানো,অন্যের কাজের প্রশংসা করা ইত্যাদি গুণাবলীর বিকাশ করে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করার জন্য একটি টিমে কাজ করলেই সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।এখানে দেয়া-নেয়ার মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে।প্রধান শিক্ষক শুধু শিক্ষক মন্ডলীর সব চাহিদা মিটাবেন কিন্তু স্কুলের সার্বিক অর্জনের জন্য শিক্ষকদের কাছেও তাঁর চাহিদা বা দাবী আছে কিন্তু তারা তা মিটানোর কোন চেষ্টার ইঙ্গিত নেই তাহলে কী সুসম্পর্ক থাকবে বা কেউ কেউ করে আবার কেউ কেউ করে না তাতেও সম্পর্কে ফাটল ধরবে।এরপরও বলবো বিদ্যালয়ে সুস্থ ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াসে নিম্নের উদ্যোগগুলো নিতে পারে-।
# উদার মনের পরিচয় দিন। প্রধান/সহকারি কথাটা মুছে ফেলুন।পারিবারিক পরিচয়/ক্ষমতা ভুলে যেতে হবে।শুধু শিক্ষক হিসেবে নিজেকে দেখুন।নেম প্লেটে লেখা থাকে প্রধান/ সহকারী কথাটা, গায়ে না।আপনার ব্যক্তিত্ব, ব্যবহার, আচরণে,বিশ্বাসে,পান্ডিত্যে ফুটে উঠবে আপনার পদ/পদবী ও নাম।খোলা মনে একে অপরের সাথে কথা বলুন।সেটা স্টাফ মিটিং এ,সাক্ষাতে, মাঠে কিংবা গল্পের আসরে বা অফিস কক্ষে।
# স্কুলের পরিবেশ শিক্ষকদের মনোবলের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে৷ নিস্তেজ এবং অস্বস্তিকর শিক্ষক কক্ষের পরিবেশ সম্পর্ক অবনমনের ফলাফল হতে পারে।তাই অফিসের স্থানগুলিকে হালকা এবং উজ্জ্বল রাখা।অনেক স্কুলে বা অফিসে প্রধান শুধু তার কক্ষ,তার চেয়ার-টেবিলের সাজ-সজ্জা নিয়ে সদা ব্যস্ত।আবার এমন দেখেছি সবার একই ডিজাইনের টেবিল-চেয়ার।অফিস প্রধান যদি শুধু অধিনস্তদের কথা ভাবতেন, তখন অধীনগণ প্রধানের কথাও ভাববেন।আর এভাবেই সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হয়।গত ঈদুল ফেতরের ২/১ দিন আগে আমি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম।প্রধান শিক্ষক সারপ্রাইজ দিয়ে তাঁর শিক্ষকদের ঈদ গিফট শাড়ী ,কামিজ,শার্ট দিল।তখন শিক্ষকগণ ফিস ফাস করে তাৎক্ষণিক প্রধান কে শার্ট কেনার জন্য খাম দিল।উল্লেখ্য, সকলের জন্য একই চেয়ার স্কুলে দেখলাম। তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট বোঝাপড়া আছে।
# শিক্ষকগণ একে অপরের ভাল কাজের প্রশংসা করবেনএবং অন্যদের ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করুন। প্রত্যেকটি সফল চেষ্টার স্বীকৃতি জনসম্মুখে দিন।তাদের ইতিবাচক ধারনা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে উৎসাহিত করুন। সমালোচনার ভয় ছাড়াই শিক্ষকদের তাদের ধারণা, অভিজ্ঞতা এবং সমস্যা সমাধান সম্পর্কে কথা বলতে একে অপরকে উৎসাহিত করুন।নিজের মতামত তুলে ধরতে একে অপরকে উদ্বুদ্ধ করুন।(চলবে)

লেখক
মোঃ দেলোয়ার হোসেন
প্রাক্তন উপ-পরিচালক
ডিপিই,ঢাকা






প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:


প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কর্তব্য


১. প্রধান শিক্ষক স্কুলের যাবতীয় রেকর্ড, রেজিস্টার ও ফাইল সংরক্ষণ করবেন;


২. স্কুল এলাকায় স্কুল গমনোপযোগী শিশুদের বাৎসরিক জরিপের কাজ শিক্ষকমন্ডলী ও ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় সম্পন্ন কর- বেন এবং শিশু জরিপের স্থায়ী রেজিস্টার সং- রক্ষণ করবেন;


৩. শিশুদের অভিভাবকবৃন্দকে তাদের সন্তান- দের স্কুলে প্রেরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন;


৪. শিক্ষকমন্ডলী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃ- নন্দ এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় স্কুলে শিশুদের দৈনিক ও নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন


৫. বাৎসরিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্ত- বায়ন করবেন এবং উহার আলোকে সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন;


৬. বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা, বাৎসরিক ক্রীড়ানুষ্ঠান ও অভিভাবক দিবস উদযাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;


৭. সহকারী শিক্ষকদের একসঙ্গে অনধিক ৩ দিন পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করতে পারবেন;


৮. সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি আদেশ ও আইন সম্পর্কে অবহিত করবেন;


৯. স্কুলে ম্যানেজিং কমিটিরি সদস্যদের সহযোগিতায় স্কুলগৃহ, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদের নিয়মিত সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;


১০. প্রয়োজনীয় রিপোর্ট ও রিটার্ণ প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট যথানিয়মে প্রেরণ করবেন;


১১. ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন;


১২. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা/বৃত্তি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করবেন;


১৩. স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নিমিত্তে সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন;


১৪. শিক্ষক অভিভাবক সমিতি গঠন ও উহার কার্যকরিতা নিশ্চিত করবেন;


১৫. সরকার প্রদত্ত পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য সরবরাহকৃত দ্রব্য ও সাজ-সরঞ্জামাদি ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনক্রমে বিতরণ করবেন;


১৬. বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ, বিদ্যালয় আঙিনা এবং শৌচাগার তথা বিদ্যালয় পরিবেশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবেন;


১৭. পাঠোন্নতির লক্ষ্যমাত্রা পর্যালোচনার নিমিত্তে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিমাসে অন্ততপক্ষে ২টি অধিবেশনের ব্যবস্থা করবেন এবং সিদ্ধান্তসমূহ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন;


১৮. সহকারী শিক্ষকদের এসিআর অনুসাক্ষরপূর্বক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার সমীপে প্রেরণ করবেন;


১৯. সহকারী শিক্ষকদের ছুটি, বদলিসহ অন্যান্য আবেদনপত্র মন্তব্য সহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমীপে প্রেরণ করবেন;


২০. মাসে অন্ততপক্ষে একবার ম্যানেজিং কমিটির অধিবেশনের ব্যবস্থা করবেন এবং অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তবলি বাস্তবায়ন করবেন।


একাডেমিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:


২১. শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের কার্যকর নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর উন্নয়ন হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন;


২২. শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা নিশ্চিত করবেন;


২৩. বিদ্যালয়ের এ্যাসেসমেন্ট ও ইভালুয়েশন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন;


২৪. শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক সফলতার জন্য সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করবেন;


২৫. শিক্ষার্থীদের উন্নতি অর্জন ত্বরান্বিত করতে অভিভাবক ও কমিউনিটিকে জড়িত করবেন;


২৬. শিক্ষার্থীদের শিখনে সহায়তা প্রদানের জন্য রিসোর্স সরবরাহ নিশ্চিত করবেন;


তত্ত্বাবধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:


২৭. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গমনোপযোগী শিশু- দের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদানের জন্য অভি- ভাবকদের উদ্বুদ্ধ করবেন;


২৮. সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন;


২৯. নিয়মিত প্রতিদিন লিখিতভাবে অন্তত দুটি শিখন শেখানো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে শি- ক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের প্রয়ো- জনীয় সহায়তা প্রদান করবেন;


৩০. পাঠের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সহকারী শিক্ষ- কগণ দৈনিক পাঠ পরিকল্পনা এবং শিক্ষা উপ- করণ তৈরি বা সংগ্রহ করেছেন কিনা সে সম্প- র্কে নিশ্চিত হবেন;


৩১. সহকারী শিক্ষকগণ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করছেন কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন;


৩২. নিয়মিত পাক্ষিক সভায় সকল পর্যবেক্ষণ উত্থাপন করে আলোচনা করবেন এবং সম্মিলিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করবেন;


৩৩. বিদ্যালয় পাঠাগারের উন্নয়ন ও রক্ষণাবে- ক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।


আর্থিক দায়িত্ব ও কর্তব্য:


৩৪. সরকার ও স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অর্থ, আসবাবপত্র, শিক্ষা উপকরণ ও অন্যান্য সম্প- দের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ক্যাশবুক ও স্টক রেজিস্টার সংরক্ষণ করবেন;


৩৫. স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের মা- সিক বেতন বিল তৈরি করে সহকারী উপ- জেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের নিকট নিয়মি- তভাবে যথাসময়ে দাখিল করবেন;


৩৬. বিভিন্ন সময়ে সরকার/অধিদপ্তর/উপ- জেলা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন।


ক্লাস্টার ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও কর্তব্য:


৩৭. সাব-ক্লাস্টার ট্রেনিং এর দিন তারিখ ও বিষয় শিক্ষকদের যথাসময়ে জানিয়ে দিবেন। সাব-ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠানের জন্য সবরকম আয়োজন সম্পন্ন করবেন। যেমন: বসার জা- য়গা, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি;


৩৮. প্রশিক্ষণের দিন প্রধান শিক্ষক নিজে উপ- স্থিত থাকবেন এবং অন্যান্য শিক্ষকের উপ- স্থিতি নিশ্চিত করবেন;


৩৯. প্রশিক্ষণের দিন সাধারণত শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে না।


বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য:


৪০. এসএমসি ও শিক্ষক অভিভাবক সমিতি গঠন নিশ্চিত করবেন;


৪১. এসএমসি'এর সহায়তা নিয়ে পরিকল্পনা কমিটি গঠন করবেন;


৪২. শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক-অভিভাবক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন;


৪৩. স্থানীয় জনগণকে পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন;


৪৪. পরিকল্পনায় যে বাজেট থাকবে তার কিয়দংশ অর্থায়নের জন্য তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন;


৪৫. সঠিকভাবে খরচের ভাউচার তৈরি কর- বেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন;


৪৬. পকিল্পনা বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে খরচের বিবরণী তৈরি করবেন এবং ভাউচারসহ উপ- জেলা অফিসে প্রেরণ করবেন;


৪৭. উল্লিখিত দায়িত্বসমূহ সম্পাদনের লক্ষ্যে অন্যান্য শিক্ষকের সহায়তা গ্রহণ করবেন (সকল শিক্ষক একটি টিম হিসেবে কাজ করবেন)


পরিমার্জিত ডিপিএড এর আওতায় ইন্টার্ণশিপ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য


৪৮. নিজ বিদ্যালয়ে সংযুক্ত সকল প্রশিক্ষণা- র্থীদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করবেন;


৪৯. নিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকের কার্যক্রম চেকলিস্ট অনুসারে মূল্যায়ন ও মনি- টরিং করবেন;


৫০. প্রশিক্ষণার্থীগণকে মেন্টরিং করে পরিপূর্ণ শিক্ষক হতে সহায়তা করবেন;


৫১. অন্যান্য মূল্যায়নকারীগণ কর্তৃক মূল্যায়- নের নম্বর সংগ্রহ করা এবং নিজের প্রদত্ত নম্ব- রসহ গোপনীয়তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টরের কাছে প্রেরণ করবেন।


প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান (প্রযুক্তির সাহায্যে):

৫২. বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে বা অফিস আদেশের মাধ্যমে চাহিত তথ্য সমূহ সঠিক ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করতে হবে।


৫৩. কোন তথ্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে সাবমিট করতে বলা হলে যথাসময়ের মধ্যে গুগল ফর্মের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।


৫৪। প্রতিদিন উপজেলা  শিক্ষা অফিসের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (পোর্টাল) চেক করতে হবে। নিয়মিত কোন আপডেট আছে কিনা তা প্রতিদিন চেক করতে হবে।


শ্রেনি পাঠদান:


৫৫. নিয়মিত অনুমোদিত  রুটিন অনুসারে  সহকারী শিক্ষকের ন্যায় শ্রেনিতে পাঠদান করতে হবে।


৫৬. দৈনিক শ্রেনি পাঠদান করতে হবে ও ছক অনুযায়ী  শ্রেনি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। 


৫৭. শ্রেনি কার্যক্রম বা বিদ্যালয় পরিচালনার কাজ ফেলে রেখে এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় চলাকালীন  অপ্রয়োজনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে বা অন্যত্র যাওয়া যাবেনা। 


৫৮. মুভমেন্ট রেজিস্টার চালু রেখে তা ব্যবহার করতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া অপ্রয়োজনে বিদ্যালয়ের বাহিরে যাওয়া যাবেনা।


আইসিটি কার্যক্রম:


৫৯. বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল জিমেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ফেসবুক পেজ বা আইডি তৈরি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। 


৬০. জুম মিটিং ও গুগল মিট আইডি তৈরি করে প্রতিনিয়ত অনলাইন মিটিং এ অংশগ্রহণ করতে হবে। 


৬১. বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ,  রাউটার, মডেম, প্রজেক্টের ইত্যাদির যথাযথ ও প্রয়োজনে দৈনিক ব্যবহার নিশ্চিত।করতে হবে।

বি:দ্র: ইলেকট্রনিক পণ্য সঠিক ব্যবহার না করে ফেলে রাখলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা থাকে।


৬২. অনলাইনে উপবৃত্তি,ইউনিক আইডির কাজ এছাড়া ও অন্যান্য তথ্য প্রধান শিক্ষক নিজ তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে হবে এবং দোকানে না গিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।


৬৩. প্রধান শিক্ষক নিজে ও সহকারী শিক্ষকদেরকেও আইসিটির বিভিন্ন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিখতে হবে এবং যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।


৬৪. IPEMIS এ বিদ্যালয়ের তথ্য, শুমারি জরিপ, শিক্ষার্থী সারাংশ সজ সকল শিক্ষকদের তথ্য নিয়মিত বিদ্যালয়ের মধ্যেই হালফিল করতে হবে। 

কোনভাবেই দোকানের মাধ্যমে এসব গোপনীয় কাজ করা যাবেনা। ভবিষ্যতে কোন রকম সমস্যা হলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবে।






Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn more
Ok, Go it!